বাংলার অরেকটি হারিয়ে যাওয়া ধান - খাস কানি। আপনারা জানেন বর্ধমান এলাকায় গোবিন্দভোগের আদি নাম- 'খাস ধান'। নামের মধ্যেই বলা আছে - এ আম ধান নয় বাপু।
বাংলাদেশের কৃষি গবেষণা কেন্দ্র এই 'খাস কানি' ধানকে হাইব্রিড করে তৈরী করেছেন --ব্রি ৩৪ ভ্যারাইটি,আসল নাম গায়েব কিন্তু খাস কানির বৈশিষ্ট্য সমুহ বজায় আছে ফলত সেটাই চিনিগুঁড়া কালিজিরা বলে বাজারে বিক্রি হয়।
আসল 'খাস কানি'র' বৈশিষ্ট্য কি? চালের দানা গোবিন্দভোগের তুলনায় ছোট, অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের সুগন্ধি চাল, ভাত রান্না করলে চাল লম্বায় তিনগুন হয়ে যায় ফলত পোলাও বিরিয়ানির জন্য আদর্শ দেশি 'খাস' চাল। সাথে প্রায় ৯% প্রোটিন।
আপনারা জানেন আমাদেরই শহরের এক আশ্চর্য মানুষ আছে ডাঃ দেবল দেব বাবু। বছরের পর বছর ধরে ধানের জেনেটিক পিওরিটি বজায় রেখে প্রায় ১১০০ ভ্যারাইটির ধান চাষ করেন এবং তার বীজ বিনামূল্যে দেশের বিভিন্ন অর্গানিক চাষিদের মধ্যে বিতরন করেন, চাষের পদ্ধতি শেখান যাতে -দেশি ধান হারিয়ে না যায়। এই ধান আমার জ্ঞান অনুসার বর্তমানে দুই বাংলায় আর কেউ চাষ করেনা।
বাংলাদেশ একে ব্রি৩৪ হাইব্রিড বানিয়ে ফেলেছে - কিন্তু দেবল বাবুর থেকে বীজ নিয়ে এই ধান কিছু ডেডিকেটেড চাষি -উড়িষ্যায় চাষ করেন। আমরা সেই সকল চাষিদের খুঁজে বের করেছি - উড়িষ্যার প্রত্যন্ত এলাকা থেকে নিয়ে আসছি - এই বাংলার হারিয়ে যাওয়া অতি উচ্চ মানের আনপলিশড 'খাস কানি' চাল।